স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ইতালি ফেরত দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে শনাক্ত করে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারাও সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি সংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য ব্যস্থাও নেয়া হয়েছে। এই আশঙ্কার কারণেই প্রথম জন কোথায় গিয়েছেন, কাদের সাথে মিশেছেন তা ট্র্যাকিং করে ৪০ জনকে খুঁজে বের করা হয়েছে। তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদের সম্পর্কে সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের ফার্স্ট কন্ট্রাক্ট হিসেবে ধরা হচ্ছে। তাদের কোয়ারেন্টাইন করা থেকে শুরু করে সবটাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে।
তিনি জানান, তারা যাদের সাথে মিশেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তাদের যত কন্ট্যাক্ট চিহ্নিত করা গেছে সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা যাচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিমান বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে ইতালি থেকে এই দুই জন কি করে প্রবেশ করলো জানতে চাওয়া হয় সচিবের কাছে। উত্তরে তিনি বললেন, করোনার ভাইরাস থাকলে সাথে সাথেই জ্বর আসবে, এমন নয়। ১৪ দিন পর্যন্ত এর উপসর্গ হিডেন থাকতে পারে। যখন তিনি এসেছিলেন তখন হয়তো তার উপসর্গ ছিল না।
উল্লেখ্য, রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বাংলাদেশে তিনজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করার তথ্য জানায়। এর মধ্যে দুই জন ইতালি ফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এই দুই জনের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে এসে আরেক জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্তান্ত তিন জনের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও এক জন নারী।