শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়ার নিহতের ঘটনায় করা মামলায় দুই চালকসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বাসমালিক জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারী শাহাদাত হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলেন- জাবালে নূরের চালক মাসুম বিল্লাহ, আরেক গাড়ির চালক জোবায়ের সুমন ও হেলপার আসাদ কাজী। আসাদ পলাতক রয়েছেন।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
আসামি জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাত হোসেন আকন্দের মামলার অংশ উচ্চ আদালত স্থগিত করায় সে বিষয়ে রায় হয়নি।
গত বছরের ২২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। চার্জ গঠন করা হয় ২৫ অক্টোবর।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের পাল্লায় বাসচাপায় নিহত হন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। আহত হয় অন্তত আরও ১০ শিক্ষার্থী।
ঘটনার দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেনকে।
জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। চালকের সহকারী কাজী আসাদ এখনও পলাতক।
এই দুর্ঘটনার পর সারাদেশে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।