এপিবিএন-এর তিন সদস্য রিমান্ডে

0
591

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় এ নিয়ে মোট ১৩ জনকে রিমান্ডে নেয়া হল। ইতোপূর্বে পুলিশের ৪ সদস্যসহ ৭ জনকে রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলেও ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও উপ-পরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিত-এর রিমান্ডের আজ ছিল পঞ্চম দিন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার ফাইল ছবি

৭ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় আজ  বেলা পৌণে ১২টার দিকে এপিবিএন-এর ৩ সদস্যকে কারাগার থেকে র‌্যাবের হেফাজতে নেয়া হয়। তাদের প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

হাসপাতাল থেকে নেয়া হয় র‌্যাব ১৫-এর কক্সবাজার সদর দফতরে। রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এপিবিএন-এর সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। মেজর সিনহা হত্যা ঘটনার দিন (৩১ জুলাই রাতে) এই তিন জন এপিবিএন-এর চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব এ ৩ জনকে হেফাজতে নিয়েছিল। ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় এদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে কক্সবাজারে জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহ’র আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খায়রুল ইসলাম জানান, আদালতের নিদের্শনা মতে রিমান্ডে নেয়ার সময় এবং রিমান্ড শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। নিয়মানুযায়ী রিমান্ডে নেয়ার আগে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনার দিন যে অস্ত্রটি ব্যবহার করে সিনহাকে গুলি করা হয়েছে সেটি তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রদান করতে আদালত আদেশ দিয়েছেন।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ঘটনার সময় চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা এপিবিএন-এর তিন সদস্যকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনে হয়েছে হত্যাকান্ডে তারা সম্পৃক্ত। সব বিষয় পর্যালোচনা করে সন্দেহভাজন হিসাবে তাদের গ্রেফতারের পর রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে তাদের অপর সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুই জনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।