কোটি টাকার পর্দা কেলেঙ্কারিতে কারাগরে ঠাঁই হলো তিন চিকিৎসকের। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারিতে দুদকের মামলায় তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্য তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।
রোববার সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার বেগমের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিন চিকিৎসক। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীণ জামিনের মেয়াদ শেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার গণপতি বিশ্বাস শুভ, সাবেক কনসালটেন্ট ডাক্তার মিনাক্ষী চাকমা ও সাবেক প্যাথলোজিস্ট ডাক্তার এ এইচ এম নূরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার আরও তিন আসামি উচ্চ আদালত থেকে নেয়া জামিনে রয়েছেন।
দুদকের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য ১০ কোটি টাকার পর্দা ও যন্ত্রপাতি কেনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়। তদন্তে দুর্নীতির বিষয়ে প্রমাণ মিললে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করে দুদক।
মামলায় আসামি করা হয় ঠিকাদার মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার গণপতি বিশ্বাস শুভ, সাবেক কনসালটেন্ট ডাক্তার মিনাক্ষী চাকমা ও সাবেক প্যাথলোজিস্ট ডাক্তার এ এইচ এম নূরুল ইসলামকে।