দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়েছে পিয়ংইয়ং

0
177
N Koria

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোয়িা ও জাপানের মধ্যকার শীর্ষ বৈঠকের প্রাক্কালে ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়েছে পিয়ংইয়ং। এটি দুই শীর্ষ নেতার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের বিশেষ বার্তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আলোচনায় এসেছে।

উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলার বিষয়ে আলোচনায় বসতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল জাপানে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিপ অব স্টাফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে উৎক্ষেপিত একটি দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র শনাক্ত করেছে তাদের সামরিক বাহিনী।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর সময় রোববার থেকে এই উৎক্ষেপণ ছিল উত্তর কোরিয়ার তৃতীয় শক্তি প্রদর্শন।

এক বিবৃতিতে সিউল জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউন জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ত্রি-পাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার এই ধরনের বেপরোয়া উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।’

এদিকে, জাপানের মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয় জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৬ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় পৌঁছায়।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মন্ত্রীদের সাথে কথা বলবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা হচ্ছে একটি অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ বিষয়।’

খবরে বলা হয়, টোকিওতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তাদের মধ্যে বৈঠকে আলোচ্যসূচির শীর্ষে রয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক ইস্যু।

বিগত ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে দুই প্রতিবেশি দেশ তাদের ৩৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনামলে জাপানি নৃশংসতার কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী কূটনৈতিক সম্পর্ক সংশোধন করার চেষ্টা করছে।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয়ই তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে এবং যৌথ সামরিক মহড়া জোরদার করছে। এ ব্যাপারে ইউন বলেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য এটি অপরিহার্য।

ক্ষেপনাস্ত্র/টিটি/কিউটি

আর্ট নিউজ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন: https://www.youtube.com/channel/UCC2oLwZJYHIEygcbPX3OsWQ