২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (ফেসবুক থেকে): অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চিকিৎসক ও গবেষক আবুল হাসনাত মিলটন। তিনি ক্রিকেটার নাসির, তার সদ্য বিয়ে করা বউ তামিমা ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিবকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। আবুল হাসনাত মিলটনের পোস্টটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টায় শেয়ার হয়েছে শত শত।
হাসনাত মিলটনের পোস্টটিতে ঝাপিয়ে পরেছেন নেটিজেনরা। পক্ষে বিপক্ষে বেশ শোরগোল তুলেছেন তারা। কেউ পক্ষ নিচ্ছেন রাকিবের। কেউবা তামিমার। এমন বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ডাক্তার মিলটনকে অনেকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তুলোধুনো করতেও এগিয়ে এসেছেন অনেকে। কি আছে হাসনাত মিলটনের পোস্টটিতে? আর্ট নিউজের পাঠকদের জন্য পোস্টটি প্রকাশ করা হলো।
এম আবুল হাসনাত মিলটন-এর ফেসবুক পোস্ট:
রাকিবের শুভবোধের উদয় হোক!
“তামিমা হয়তো রাকিবের সন্তানের জননী, তবে তাদের সম্পর্কে শ্রদ্ধা বলে কিছু ছিল বলে মনে হয় না। আর শ্রদ্ধাহীন সম্পর্কে ভালবাসা থাকে না। চলে গেছে বলে প্রাক্তন স্ত্রীর চরিত্র উন্মোচনে কোন কৃতিত্ব নেই। যে চলে যেতে চায়, তাকে জোর করে আটকে রাখার চেয়ে যেতে দেওয়াই উত্তম। যে মানুষটিকে একদিন ভালবেসেছিলেন, যে আপনার সন্তানের জননী, আজ সে চলে গেছে বলে অতীতের সবকিছু হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে? ‘প্রাক্তন’কে নিয়ে ঘৃণা ছড়ানোর মধ্যে কোন পুরুষত্ব নেই।
ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ বলে খ্যাত নাসিরের তথাকথিত লাম্পট্য নিয়ে বাজারে অনেক কাহিনীই প্রচলিত আছে। সব জেনেশুনে তামিমা নামের এক তরুণী তাকে বিয়ে করেছেন। এই বিয়েতে প্রচলিত আইনের কোন লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা নিশ্চয়ই আদালত দেখবেন। এ ব্যাপারে তামিমার প্রাক্তন স্বামী রাকিব আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু বিচারিক প্রক্রিয়ার উপরে আস্থা না রেখে যেভাবে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে রাকিব তামিমার চরিত্র হননে নেমেছেন, তা দু:খজনক। ‘তামিমার মুখোশ খুলে লাভ আমার একার না, সমগ্র পুরুষ জাতির’ বলে যে দাবি তিনি করছেন, তাও তার বালখিল্যতার পরিচয় বহন করে। লাভ তো দূরের কথা, তার আচরণে পুরুষজাতিই বরং হেয় হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নাসির- তামিমার উচিত, রাকিবের বিরূদ্ধে মানহানির মামলা করা।
যে সম্পর্কে ভালবাসা থাকে না, সেখানে একটি কাগজের মূল্য কতটুকু? সম্পর্কের ক্ষেত্রে তামিমা যদি রাকিবের প্রতি কোন অন্যায় করে থাকে, আইনের পাশাপাশি সময়ও তার প্রতিদান দেবে। রাকিবের উচিত ছিল, ধৈর্য্য ধরে সে সময়টুকু অপেক্ষা করা। পুরুষশাসিত সমাজে একজন তরুণীর অসম্মানে আমরা অনেকেই হয়তো পুলকিত বোধ করছি, তবে এহেন আচরণের মধ্য দিয়ে রাকিব নিজেকে একজন নিম্নমানের পুরুষ হিসেবেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করছেন। তামিমার প্রস্থানে নিজেকে পরাজিত, প্রতারিত ভেবে তিনি যে আচরণটি করছেন, তা আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়।
রাকিবের শুভবোধের উদয় হোক। বিচ্ছেদ মাত্রই পরাজয় নয়। আবার সব পরাজয়ে গ্লানিও থাকে না। প্রকৃত প্রেম কখনও হারে না। বরং ভালোবাসাহীনতায় দীনতার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পড়ে। পুরুষ তুমি মানুষ হও, দূর হোক দীনতা তোমার। দিনশেষে ভালবাসা জয়ী হোক।
পুনশ্চ: আমার কাছে তামিমা-রাকিবের ডিভোর্স লেটারের কপি আছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১”