আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইকুয়েডরে অবস্থিত মেক্সিকোর দূতাবাসে জোর করে ঢুকে পড়ে একদল পুলিশ। সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ইকুয়েডরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট হোর্হে গ্লাসকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইকুয়েডরের সাথে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মেক্সিকো।
গ্লাস ইকুয়েডরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। এরপর দুর্নীতির দায়ে পদচ্যুত হন তিনি। এরপর তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত বছর নভেম্বরে তিনি ছাড়া পান। কিন্তু এরপর আবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল গ্লাসের নামে। এরপর ডিসেম্বর মাসে তিনি মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। খবর বিবিসি।
শুক্রবার মেক্সিকো জানায়, পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই বাছাইয়ের পর গ্লাসকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মেক্সিকোর এ সিদ্ধান্তে নিন্দা জানায় ইকুয়েডর। এরপর শুক্রবার রাতে একদল পুলিশ অভিযান চালায় মেক্সিকো দূতাবাসে। সে সময়ে ধারণকৃত আলোকচিত্রে দেখা যায়, দেয়াল এবং ধাতব বেড়া টপকে দূতাবাসে ঢুকছেন পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদ আহত হয়েছেন বলে জানান মেক্সিকোর পররাষ্ট্র সচিব অ্যালিসিয়া বারসেনা।
এ ঘটনায় ইকুয়েডরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর।
তবে এ ঘটনার আগে থেকেই এ দুই দেশের সম্পর্ক টালমাটাল ছিল। ইকুয়েডরের গত নির্বাচনে সহিংসতা নিয়ে বুধবার কিছু মন্তব্য করেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট। এরপর ইকুয়েডর সে দেশে মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং তাকে দেশ থেকে বের হয়ে যেতে বলে।
কূটনীতি/এমএএম
আরও খবর পড়তে: artnewsbd.com
আর্ট নিউজ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে: ARTNews BD