করোনা নিয়ে মাশরাফির সতর্কবার্তা

0
840

মাশরাফি, ম্যাশ, নড়াইল এক্সপ্রেস, দ্য বস… যে নামেই ডাকুন; তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কাপ্তান। নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে। খেলার মাঠের মত রাজনীতিতেও লড়াকু। মাশরাফি ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেইজে একটি পোস্ট দিয়েছেন, করোনা ভাইরাস ইস্যুতে। ৪ বছর আগের একটি ছবি পোস্ট দিয়ে তিনি সাবধান করেছেন সবাইকে।

২০১৬ সালের অক্টোবরে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের সাথে খেলা চলাকালে এক ভক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে চলে আসে মাশরাফির কাছে। মাশরাফি তার এই ভক্তকে জড়িয়ে ধরে রক্ষা করেন নিরাপত্তা কর্মীদের হাত থেকে। সেই ছবিটি দিয়েই তিনি লিখলেন, এভাবে এখন আর কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না।

মাশরাফির পোস্টটি হুবুহু দেয়া হলো:

২০১৬ সালে মাঠে ঢুকে পড়া ভক্তকে নিরাপত্তা কর্মীর হাত থেকে রক্ষা করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই ছবিটি দিয়েই তিনি বলেন, এখন এমনটা করা যাবে না।
ছবি: মাশরাফির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।

“না, এভাবে কাছে আসা যাবে না! না, নিজের পরিচিত কিংবা দূরের কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না!

যা করা যাবে: নতুন করোনাভাইরাস রোগ সম্পর্কে কথা বলুন (কোভিড-১৯)।

যা করা যাবে না: রোগের সাথে এর ভৌগলিক অবস্থান বা জাতিসত্তা সংযুক্ত করা যাবে না। মনে রাখবেন, ভাইরাসটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, জাতি বা বর্ণের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে না।

যা করা যাবে: কোভিড-১৯ আছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ এর জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন এমন লোক সম্পর্কে বা কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরে মারা যাওয়া লোক সম্পর্কে কথা বলা যাবে।

যা করা যাবে না: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এর ‘শিকার’ হিসাবে উল্লেখ করা যাবে না।

যা করা যাবে: কোভিড-১৯ ব্যক্তিদের সংক্রমণের বিষয়ে কথা বলুন।

যা করা যাবে না: কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকেরা ‘অন্যকে সংক্রামিত করে’ বা ‘ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়’- এসব বলা যাবে না। কারণ এটি ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্রমণ ছড়ানো বোঝায় এবং দোষ চাপিয়ে দেয়।

যা করা যাবে: বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সর্বশেষ অফিসিয়াল স্বাস্থ্য পরামর্শের উপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি সম্পর্কে সঠিকভাবে কথা বলুন।

যা করা যাবে না: অসমর্থিত গুজবের পুণরাবৃত্তি এবং আতঙ্ক ছড়ায় এমন ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। যেমন ‘প্লেগ’, ‘অ্যাপোক্যালিপস’ ইত্যাদি।

যা করা যাবে: ইতিবাচকভাবে কথা বলুন এবং হাত ধোয়া সম্পর্কিত টিপস অনুসরণ করে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর জোর দিন। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এটি এমন একটি রোগ যা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। নিজেকে, প্রিয়জনদেরকে এবং সবচেয়ে দূর্বলকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সকলেই নিতে পারি এমন সহজ পদক্ষেপ।