ওয়ারী লকডাউনে

0
541

করোনার বিস্তার রোধে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত রাজধানীর ওয়ারীতে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।

শনিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

ওয়ারীর যে সব এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে সেগুলো হলো: টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন)। এছাড়া লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিন স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিটও লকডাউনের আওতায় থাকবে।

লকডাউনকালে এসব এলাকায় চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। এলাকার বাসিন্দারা কেউ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণপত্র লাগবে। ই-কর্মাসের মাধ্যমে আসা জরুরি জিনিসপত্র বাসা-বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দোকান-পাট, বিপণি বিতান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। শুধু ওষুধের দোকান খোলা থাকবে।

লকডাউন এলাকা ২১ দিন সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এলাকার সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-কারখানা বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এসব এলাকায় বসবাস করেন, তারাও থাকবেন ছুটির আওতায়।

পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন শুরুর পর রেড জোনে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না। এসব এলাকার ভেতরে সব ধরনের চলাচল বন্ধ, প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ থাকবে নিয়ন্ত্রিত।

লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। এলাকার ভেতরে স্বেচ্ছাসেবীরাও দায়িত্ব পালন করবেন। বলধা গার্ডেনের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

লকডাউন কার্যকর বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো জানিয়েছেন, ১৭টি রোডের মধ্যে ১৫টি ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি যাতায়াতের জন্য টিপু সুলতান রোড হয়ে র‌্যাংকিং স্ট্রিটের দিকে এবং ফোল্ডার স্ট্রিট হয়ে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের দিকের রাস্তা চালু রয়েছে।

লকডাউন বাস্তবায়নে জনগণকে সচেতন করতে গত কয়েকদিন এলাকায় মাইকিং করা হয়। এখানে তিন শিফটে একশ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এছাড়া করোনার নমুনা টেস্টের জন্য বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে এবং মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা আছে।