পুরুষদের বিদেশ যাওয়া নিষেধ মিয়ানমারে

0
12

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সেনা সংকটে দিন দিন আরও কঠোর হচ্ছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। তরুণ ও যুবকদের ওপর বাড়াচ্ছে চাপ। রুখে দিচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। এর আগে তাদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ঘোষণা দেয়া হয়। এবার যেন তরুণরা দেশ ছাড়তে না পারে সেই ব্যবস্থাও করছে। মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশ যাওয়া নিষেধ করেছে দেশটির সেনা সরকার।

বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন সামরিক সরকার। তারা জানিয়েছে, যাদের জন্য সেনাপ্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক তাদের বিদেশে কাজে যাওয়ার আবেদনপত্র গ্রহণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এশিয়ার অন্যান্য দেশে মিয়ানমারের অনেক নাগরিক শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। সীমান্ত অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় সশস্ত্র বিদ্রোহী জোটের কাছে হেরে গিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

এ পরিস্থিতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সের নারীদের অন্তত দুই বছর সেনাপ্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করে ফেব্রুয়ারি একটি আইন জারি করে সামরিক সরকার। সরকারের এ ঘোষণার পর তরুণ মধ্যে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা প্রবল হয়ে ওঠে।

বিবিসি জানিয়েছে, সেনা প্রশিক্ষণ নিয়ে আইন জারির পর মিয়ানমারের প্রায় এক লাখ পুরুষ বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।

জাপানের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ৩২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জানান, সরকারের এ ঘোষণায় তিনি বিপর্যস্ত। তিনি আরও বলেছেন, সবাই ভবিষ্যতের জন্য তাদের আশা হারিয়ে ফেলেছে। দেশে চাকরির সুযোগ নেই এবং এখন তারা আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে।

আমাদের কি কিছু করার অনুমতি নেই?’ অন্যদিকে রাজধানী নেপিদোর লুই শহরতলির ২৮ বছর বয়সি কো ফিও বলেন, সামরিক পরিষদের নির্দেশে দেশের তরুণদের কোনও কাজের সম্ভাবনা নেই। তবে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার পর অসংখ্য তরুণ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ থাই সীমান্তের মায়ো সোটে আশ্রয় খুঁজছে।

মিয়ানমার/এমএএম

আরও খবর পড়তে: artnewsbd.com

আর্ট নিউজ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে: ARTNews BD

https://www.youtube.com/channel/UCC2oLwZJYHIEygcbPX3OsWQ