রমজানে এ বছরও বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামি শরিয়া মতে আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়।
জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটার ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা। যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। গমের ক্ষেত্রে এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এছাড়াও কিসমিস দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৫০০ টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব নুরুল আমীন, লালবাগ মাদরাসার মুফতি ইয়াহিয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।