ফিচার ডেস্ক: হিমালয় পর্বতমালার অংশ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও থেকে। জেলার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বুড়িরবাঁধ থেকে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে পর্বতচূড়া। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। ভারতের সিকিম ও নেপালের সীমান্তঞ্চলে অবস্থিত এ পর্বতের চূড়া অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত– প্রায় ৪ মাস পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা যায়।
২০১৩ সালে বুড়িরবাঁধ এলাকা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার ছবি প্রথম ক্যামেরাবন্দি করেন ফটোগ্রাফার রেজাউল হাফিজ রাহী। এর আগে শুধু পঞ্চগড় থেকে বিশেষ একটা সময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যেত।
রেজাউল হাফিজ রাহী বলেন, ২০১৩ সালে বুড়িরবাঁধ এলাকায় পাখির ছবি তুলতে গিয়ে প্রথম কাঞ্চনজঙ্ঘার সর্বোচ্চ চূড়ার ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করি। এরপর তা ফেসবুকে পোস্ট করি। এরপর থেকেই মানুষ জেনেছে শুধু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে নয়, ঠাকুরগাঁও থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়া দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতবছরও বুড়িরবাঁধ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় দেখা গেছে। এইবার গত কিছুদিন থেকে দেখা যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বেশ ভালোভাবে দেখা যায়। তারপর আস্তে–আস্তে ঝাপসা হতে থাকে। তবে শেষ বিকেলে সূর্যকিরণ আবার যখন তির্যক হয়ে পড়ে বরফের পাহাড়ে তখন অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
স্থানীয় আরমান আলী বলেন, প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি পাহাড়টা দেখার জন্য। গতবছর শীত বেশি থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া ভালোভাবে দেখা যায়নি। তবে এবার শীত কম থাকায় চূড়াটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে যোগ দেওয়ার পর জেনেছি এখান থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া দেখা যায়। নিজেও সেই দৃশ্য উপভোগের চেষ্টা করছি। চমৎকার ও অপূর্ব সেই দৃশ্য। নিজের চোখকে বিশ্বাস করা যায় না এতটাই অপূর্ব। তবে এই যে এতদূর হতেও শীতকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত দেখা যায় তার জন্য এখানে উচু স্থাপনা ও সেই স্থাপনার সাথে শিশুপার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও ক্যান্টিন গড়ে উঠতে পারে বলেও জানান তিনি।
কাঞ্চনজঙ্ঘা/এএমএম/কিউটি