কুড়িগ্রামে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি বিধিসম্মত হয়নি।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতার ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এমন কথা বললেন। খবর: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামে একজন সাংবাদিককে যেভাবে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র কোর্ট বসিয়ে শাস্তি দেয়া হয়েছে, আমার দৃষ্টিতে এটি কোনোভাবেই বিধিসম্মত হয়নি। অ্যাটর্নি জেনারেল ইতোমধ্যেই তার বক্তব্যে এভাবে মধ্যরাতে অন্যত্র কোর্ট বসানো যায় না বলে মত দিয়েছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতদূর দেখে আসছি, মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থলেই বসাতে হয়। একজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র মোবাইল কোর্ট বসানো কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয় এবং এটা যেভাবে ঘটানো হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ডিসি হোন বা অন্য কর্মকর্তা হোন, যেই হোন, তিনি যদি আইন বহির্ভুতভাবে কোনো কাজ করে থাকেন, সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং অন্যরাও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না।’ ‘কারো কোনো অপরাধ থাকলে তার বিচারেরও নিয়মনীতি রয়েছে, কিন্তু এক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি না’, বলেন ড. হাছান।
অপর একজন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজখবর করছে।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোকসজ্জা করোনা সংক্রমণে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না’ সে ব্যাপারে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোকসজ্জা বরং করোনার কারণে চিন্তিত মানুষকে উজ্জীবিত করবে। প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাগমপূর্ণ সব অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এবং আলোকসজ্জার সাথে জনসমাগমের কোনো সম্পর্ক নেই বিধায় করোনা সংক্রমণে এর কোনো প্রভাবও নেই।’
