সার্ভিস প্রোভাইডারদের দায়

0
453

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের প্লাটফর্ম অপব্যবহারের দায় এড়াতে পারেন না। তিনি বলেন, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও কারও চরিত্র হরণ করলে দেশের আইন অনুযায়ী টেলিভিশন ও সংবাদপত্র দায়ী হয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। তাহলে একই কাজ করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন দায়ী হবে না?

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবীর বাস্তবতা। মানুষ এখন এ মাধ্যম যত ব্যবহার করে বা দেখে, অন্য মিডিয়ার ক্ষেত্রে ততো সময় ব্যয় করে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশ-বিদেশে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। এটি ব্যবহার করে চরিত্র হনন ও নানা ধরণের মিথ্যা সংবাদও পরিবেশন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বললেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সার্ভিস যারা দিচ্ছেন, তাদের অবশ্যই দায়িত্ব আছে। তাদের সুবিধা ব্যবহার করে যদি কেউ অনৈতিক, দেশ-সমাজ-রাষ্ট্রবিরোধী এবং কারও চরিত্র হননের কাজ করে, তাহলে তো নিশ্চয়ই যিনি সার্ভিস দিচ্ছেন তার দায় থাকে। সুতরাং সেই দায় তারা এড়াতে পারেন না।

এ সময় মন্ত্রী মন্তব্য করেন, আমাদের দেশ থেকে তারা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করবে, কর দেবে না, আবার এই সুবিধা ব্যবহার করে আমার দেশে এবং বিদেশ থেকে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করা হবে, সেজন্য তারা দায়ী থাকবে না, এটি তো হতে পারে না।

এ সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর ও  ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারকারীদের বিষয়ে এসব দেশে আইন হয়েছে। আমাদের দেশেও এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করতে হবে।

দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩৮ ধারায় স্যোশাল মিডিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, চরিত্র হনন, সমাজে অস্থিরতা বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি… এই ধরণের অপরাধমূলক কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হলে সেই সার্ভিস প্রোভাইডারদের জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনে আরো একটি নতুন আইন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।