উপমহাদেশে তোলপাড়

0
415
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠক করেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির শীর্ষ নেতাদের সাথে। ছবি সৌজন্য: মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ

৩১ অক্টোবর ২০২০ (নিউজ ডেস্ক): শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় ভারত-পাকিস্তানসহ পুরো উপমহাদেশ জুড়ে তোলপাড় চলছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। বলেছেন, তারপরও ‘দলকানা’ বিএনপির মুখেই শুধু সমালোচনা।

শনিবার দুপুরে ঢাকায় মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এর আগে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির শীর্ষ নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন এবং প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল সংস্থা আইএমএফ-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীকে করেন। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আইএমএফ -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছরের শেষে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। অর্থনৈতিক, মানবিকসহ সমস্ত সূচকে আমরা পাকিস্তানকে বহু আগেই এবং অনেক সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। বিশেষ করে এখন অর্থনৈতিক সূচক যেমন ‘পার ক্যাপিটা জিডিপি’র ক্ষেত্রেও আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুধু আইএমএফ নয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা মহামারির এ বছরে ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই যেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, সেখানে বাংলাদেশ সেই হাতেগোণা কয়েকটি দেশের একটি যাদের প্রবৃদ্ধি ধ্বনাত্মক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বে সর্বোচ্চ আর মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনিম্ন। ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানসহ পুরো উপমহাদেশে ব্যাপক আলোচনা-প্রশংসা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে খবর ও টক-শো’তে তাদের বুদ্ধিজীবীরা এবং গণমাধ্যমও বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রশংসা করছে।

ডক্টর হাছান মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একমাত্র বিএনপি এবং তার কিছু মিত্র এই প্রশংসা করতে পারছে না। বিএনপি বলে বেড়ায়, সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না, অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, বিকেলে আরেকবার করেন। টিভি খুললেই দেখা যায়, টেলিভিশনগুলোতে তার এই বিষোদগার প্রচার হয়। তারা শুধু অহেতুক বিষোদগারই করতে পারেন, প্রশংসা করতে পারেন না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান বলেন, এটি বিএনপির রাজনৈতিক ও চিন্তা-চেতনার দীনতা। তারা যে ‘দলকানা’ অর্থাৎ শুধু দল নিয়ে ভাবে, দেশ ও দশের কথা ভাবে না, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটান নিজেদের কথাতেই।

এ সময় চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালকদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ দুই-ই বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, বন্ধ হল চালু ও সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও এ বছর প্রায় ২৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। সরকার বিশ্বাস করে, দেশের মানুষকে সুস্থ বিনোদন দেয়া ও তরুণ সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী/এএমএম/রমু