দুনিয়াজুড়ে ধর্ষণ বেড়েছে

বাংলাদেশের অবস্থান ৪০ নম্বরে

0
3560
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। বলা হচ্ছে, সারা প্রথিবীতে ৩৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ নারী বিষয়টি চেপে যান। ১০ শতাংশ আইনের সাহায্য নেন। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর এক জরিপে এমনটাই জানা গেল। ১১৮টি দেশের ওপর চালানো জরিপে বাংলাদেশে অবস্থান ৪২ নম্বরে। ধর্ষণে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আফ্রিকান দেশগুলোতেই বেশি ঘটছে ধর্ষরে ঘটনা।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০১৯ সালে বিভিন্ন দেশে সংঘটিত ধর্ষণের হিসাব অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে ১০ জন ধর্ষণের  শিকার হন। অর্থাৎ প্রতি ১শ’ জনে বাংলাদেশে ধর্ষিত হন দশমিক ০০০১ জন নারী। ভারতে এই হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। সেখানে ২০১৯ সালে প্রতি লাখে ১ দশমিক ৮ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

২০১৯ সালে ধর্ষণের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চতুর্দশ স্থানে। আর প্রতি লাখে ৯ জনের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে জার্মানি আছে বাংলাদেশের দুই ধাপ পিছনে, ৪২তম।

তালিকার প্রথম স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি লাখ নারীর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ১৩২ জন। দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের জরিপে স্বীকার করা হয়েছে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ ধর্ষণ করে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরেক দেশ বোতসোয়ানো। দেশটিতে প্রতি লাখে ৯৩ জন নারী ধর্ষণ বা যৌণ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ২০১৯ সালে।

তৃতীয় স্থানে আছে লেসোথো। আফ্রিকার এই দেশে প্রতি লাখে ৮৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। লেসেথোর মোট জনসংখ্যামাত্র  ২১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৮ জন।

চতুর্থ স্থানে আছে সোয়াজিল্যান্ড। প্রতি লাখে ধর্ষিত হন ৭৮ জন। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১১ লাখ ৪৮ হাজার ১৩০ জন। ২০১৯ সালে সোয়াজিল্যান্ডে  ৮৯৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

পঞ্চম স্থানে থাকা বারমুডায় প্রতি লাখে ধর্ষণের শিকার ৬৭ জন।

ষষ্ঠ স্থানে আছে ইউরোপের দেশ সুইডেন। প্রতি লাখে সেখানে ধর্ষণ ও যৌণ নিপীড়নের শিকার ৬৩ জন। ইউরোপের এই দেশে পুরুষরাও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

সপ্তম স্থানে আছে সুরিনাম। প্রতি লাখে সেখানে ৪৫ জন নারী ধর্ষিত হন। দক্ষিণ আমেরিকান দেশটির জনসংখ্যা ৫ লাখ ৮১ হাজার ২৭২ জন। ২০১৯ সালে ধর্ষণের শিকার ২৬২ জন নারী।

অষ্টম স্থানে আছে কোস্টারিকা। সেখানে প্রতি লাখে ৩৭ জন ধর্ষণের শিকার হন। দেশটির গবেষণা বলছে, ১৬ থেকে ১৯ বছরের তরুণীরা বেশি আক্রান্ত হন।

নবম স্থানে থাকা নিকারাগুয়ায় প্রতি লাখে ধর্ষণের শিকার হন ৩২ জন। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০২ জন।

তালিকার দশম স্থানে আছে গ্রেনাডা। দেশটিতে প্রতি লাখে ৩১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ক্যারিবীয় দেশটির মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৩ জন। ১৮ থেকে ২৪ বছরের কলেজ ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঝুঁকিতে থাকেন।